মতামত

দেশের সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভীর বার্তা

  প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:১২:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

দেশের সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভীর বার্তা
দেশের সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে রুহুল কবির রিজভীর বার্তা

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—বিএনপি

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

আসসালামু আলাইকুম। আপনাদের সবাইকে জানাচ্ছি পবিত্র মাহে রমজানের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।

পবিত্র রমাজান প্রায় শেষ পর্যায়ে, আর দুই তিন দিন পর উদযাপিত হবে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর। কিন্তু ডামি নির্বাচনের ‘বাকশাল টু’ সরকারের ভয়াবহ দু:শাসনে পড়ে এ পবিত্র রমজানেও নিদারুণ কষ্টে জীবন যাপন করছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, গ্যাস—বিদ্যুৎ—পানি সংকট তো আছেই। এছাড়াও অবৈধ সরকারের লুটপাটের অর্থনীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ ক্রমসম্প্রসারিত হচ্ছে। বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষকে জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। সভা—সমাবেশ—মিছিল করার অধিকার আওয়ামী লীগ এখন এককভাবে ভোগ করছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে এরা কলুষিত করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে। আওয়ামী সন্ত্রাস মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। জনগণের ওপর প্রভুত্বকামী জুলুমবাজ সরকার পাড়া—মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত দেশব্যাপী হিংসার মন্ত্রণাদাতা ও শান্তির শত্রু। এরা গণতন্ত্রের মূল নীতিকে সমাধিস্থ করে এক সর্বগ্রাসী অত্যাচারী রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঈদের কোন আনন্দ নেই। বিশেষ করে মধ্যম ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক।

বন্ধুরা,

আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে ক্ষমতায় এসেই গণতন্ত্রের লাশ ফেলে দেয়া। অত্যাচার, লুটতরাজ সর্বক্ষেত্রেই বিদ্যমান। এরা ক্ষমতাসীন হয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, হামলা, জেল, জুলুম, খবরদারী, অত্যাচার, উৎপীড়ণ, খুন, গুম, লুণ্ঠন, দুঃশাসন চালিয়ে আসছে। জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা ধরে রেখে অবৈধ আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গত প্রায় ১৬ বছরে ক্রমবর্ধমান স্বৈরশাসনের নানামূখী ফরম্যাট পরিবর্তনের মাধ্যমে দেড় লাখের বেশি হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ প্রায় ৫০ লাখের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। রাজনৈতিক আচরণের রীতি ও শালীনতাকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে সাবেক চারবারের প্রধানমন্ত্রী ও দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে, এখনও তিনি মুক্ত নন। যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তাতে তাঁর বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তাঁকে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই সরকারের আমলে বিচারের রায় ছিল ফরমায়েশি ও আক্রোশমূলক। গণতন্ত্র—ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনের অপরাধে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে এখনো কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ভয়ঙ্কর আতঙ্কের দেশ। ডামি নির্বাচনের পর অনেককে জামিন দিলেও আবারও নতুন নতুন মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী হাজার হাজার মানুষকে গুম, খুন, গুপ্তহত্যার শিকার করা হয়েছে। ছয় বছরের শিশু থেকে মায়ের পেটের বাচ্চাকেও গুলি করা হয়েছে। কবরে শায়িত ব্যক্তি, কোলের বাচ্চা, বিদেশে অবস্থানকারী মানুষ, কারাবন্দি লোককে নাশকতা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ইত্যাদি গায়েবি মামলায় জড়িত করার অগণিত উদাহরণ রয়েছে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কেউই এই গায়েবি মামলা ও সরকারি নির্যাতন—নিপীড়ণ থেকে রেহাই পায়নি। দেশ যেন এখন কাঁটাতারের বেড়াঘেরা এক অবরুদ্ধ জনপদ।

সরকারের সাজানো মিথ্যা মামলায় জর্জরিত বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সকল নেতাকর্মী। কারও কারও বিরুদ্ধে ৪শ থেকে ৫শ মামলাও রয়েছে। একদিকে মামলার চাপ আরেক দিকে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব হারিয়ে অনেকটা নি:স্ব হয়ে পড়েছে বিএনপির অনেক নেতাকর্মীরা। এছাড়াও এখনও যারা কারবান্দি রয়েছেন এমন নেতাকর্মীর সংখ্যাও কম নয়। কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে এবারও ঈদ করতে হচ্ছে দলটির অজস্র নেতাকর্মীকে। অবৈধ ও ডামি নির্বাচনের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে রাজনৈতিক মামলায় বন্দি এসব নেতাকর্মী।

গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা করার পর থেকে গণতন্ত্রের প্রতি ঈর্ষাতুর ও বিদ্বিষ্ট প্রধানমন্ত্রী বিএনপির কর্মসূচি ঠেকাতে সারাদেশে গণহারে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন। ওই সময় বিএনপির মহাসচিবসহ এবং অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ প্রায় ২৬ হাজার নেতাকর্মীকে কারাগারে বন্দি করা হয়। ৭ জানুয়ারির ডামি নির্বাচনের পর বেশির ভাগের জামিনে মুক্তি মিললেও পরে আবারও নতুন মামলায় অনেককে কারাগারে পাঠানো হয়। ডামি নির্বাচন করতে একদিকে চলে গ্রেফতার নির্যাতন আরেকদিকে শুরু হয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পুরোনো মামলার সাজার রায়। প্রায় একশ মামলায় কমপক্ষে ১৮শ নেতাকর্মীকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দেওয়া হয়।

এখনও কারাবন্দী রয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম পিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব—উন—নবী খান সোহেল, লায়ন আসলাম চৌধুরি, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, প্রকাশনা সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য লুৎফুজ্জামান বাবর, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী মিয়া নুরুদ্দিন অপু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দিনাজপুর—৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আজিজুর রহমান মুসাব্বির, ছাত্রদলের সাবেক সহ—সভাপতি ইখতিয়ার রহমান কবির, স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর জেলা বিএনপির সদস্য মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চসহ ৫১ জন, চিরিরবন্দর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে আলম সিদ্দিকী নয়ন, সাভার উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিনসহ হাজারো নেতাকর্মী।

আমি বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ আটক রাজবন্দীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগেই নি:শর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি। বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানসহ সকল বিএনপি নেতার মিথ্যা মামলায় ফরমায়েশি সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

সাংবাদিক বন্ধুগণ,

সারাদেশে আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী কতৃর্ক হামলা, মামলা ও গ্রেফতারের বিবরণ ঃ

মৃত্যু ঃ

পবিত্র রমজান মাসেও থেমে নেই খুনী, সন্ত্রাসী ও ধর্ষকদের অভয়ারণ্য সংগঠন ছাত্রলীগের উন্মত্ততা ও নৃশংসতা। গত ১৫ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার কুমিল্লা জেলায় নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ হয়। এসময় জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে নিজ বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে ঘটনাস্থল অতিক্রমকালে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলাধীন শহর শাখা ছাত্রদলের সদস্য জামিল হাসান অর্নবকে গুলি করে সন্ত্রাসী বাহিনী। মুমূর্ষু অবস্থায় অর্নবকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের দ্বারা এই ধরণের হত্যাকান্ডের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, একইসাথে ছাত্রদল নেতা অর্নবের হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনার জোর আহ্বানসহ নিহতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

গ্রেফতার ঃ

 নড়াইল সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মুজাহিদ রহমান পলাশ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক খন্দকার হুশিয়ার রহমান, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাবুর রহমান শিহাব, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সনি ও জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সনিসহ মোট ১৩ জন নেতাকমীর্ গত ০৩ এপ্রিল একটি মিথ্যা মামলায় নড়াইল জেলা আদালতে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল হালিম শাহ আলমকে গ্রেফতার করে খুলশি থানা পুলিশ।

 ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক কমিশনার হারুন উর রশিদ হারুনকে ০১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ রাত ১ টার সময় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

 ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখ বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় আদালত কতৃর্ক বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব—উন—নবী খান সোহেল এর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং অবিলম্বে তার নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন বারৈয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য দিদারুল আলম মিয়াজি এবং হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মির্জা সাহেদকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

 মৌলভীবাজার জেলাধীন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দিন তাজু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রুবেল হোসেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব তৈয়ব আহমেদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন, যুবদল নেতা আব্দুল কাদির, মুবারক হোসেন লোপ্পা, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা তানভির জনি, ছাত্রদল নেতা আলী হোসেন, সৈয়দ নাবিল, মারজান ও জাহেদ আলীসহ মোট ১২ জন নেতাকমীর্ গত ২৭ মার্চ ২০২৪ তারিখ একটি মিথ্যা মামলায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে হাইকোর্টের জামিন থাকা সত্বেও জেলা আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব সকল বানোয়াট ও হয়রানীমূলক মামলায় জামিনে মুক্ত হওয়ার পরও গত ২৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ পুনরায় নতুন করে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে কারান্তরীণের অমানবিক ঘটনায় আমি গভীর উদ্বেগ প্রকাশসহ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে সাইফুল আলম নীরব এর নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান করছি।

 মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় গত ২১ মার্চ ২০২৪ তারিখ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান এবং ২০ মার্চ ২০২৪ তারিখ কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের দপ্তর সম্পাদক (যুগ্ম সম্পাদক পদমর্যাদা) আব্দুল্লাহ আল মামুন আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর ও কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 গত ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আকরামুল হাসান মিন্টু একটি মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালাত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়াও স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল—মামুন একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। আমি অবিলম্বে বিএনপি নেতা আজিজুল বারী হেলাল ও আকরামুল হাসান মিন্টুসহ গ্রেফতারকৃত সকলের নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান জানাচ্ছি।

 ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখ নোয়াখালী জেলাধীন সেনবাগ উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ওবায়দুল হক চেয়ারম্যান, পৌরসভা বিএনপির সদস্য সচিব ও সেনবাগ পৌরসভার কাউন্সিলর কামাল উদ্দিন বাবুল, বিএনপি নেতা— ভিপি মফিজুল ইসলাম, ভিপি ওমর, উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন, পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব ওয়ালিদ আদনান, উপজেলা যুবদলের সদস্য শামীমুর রহমানসহ মোট ১৮ জন নেতাকর্মী মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলায় হাইকোর্টের আগাম জামিন থাকা সত্বেও গতকাল জেলা জজ আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে।

 গত ১৮ মার্চ ২০২৪ তারিখ হবিগঞ্জ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিনুল ইসলাম বাবুল, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আহাদ তুষার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাওন এবং চুনারুঘাট উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোঃ মারুফ মিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 ১৪ মার্চ ২০২৪ তারিখ সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে একটি মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে আজ্ঞাবহ আদালাত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করে। এছাড়াও গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখ নাটোর জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমান কাজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনিব খান রানা, প্রচার সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাদ্দাম, স্কুল বিষয়ক সম্পাদক অনিক ইসলাম, ছাত্রদল নেতা শামীম রেজা ও ফাইসাল হোসেন একটি মিথ্যা মামলায় নাটোর জেলা আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

 ১২ মার্চ ২০২৪ তারিখ মেহেরপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাবেদ সেনজির, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজম হোসেন ও উত্তরখান থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ—সভাপতি ইসতিয়াকুল বাছেত মিথ্যা মামলায় আদালতে জামিন চাইতে গেলে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের ঘটনায় আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত সকল নেতৃবৃন্দের নি:শর্ত মুক্তির জোর আহ্বান করছি।

ধন্যবাদ সবাইকে। আল্লাহ হাফেজ।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত