স্টাফ রিপোর্টার ৩০ মে ২০২৪ , ৯:০০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
ভন্ড পীরের কারসাজি,দ্বিতীয় স্ত্রীর নিকট থেকে স্বামীকে প্রথম স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রলোভনে প্রতারণার মাধ্যমে সর্বস্ব হাতিয়ে নিয়েছেঃ ভন্ডপীর গ্রেফতার২০০৬ সালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ থানার তাছলিমা খাতুন (৩০), পিতা- মৃত আঃ জব্বার,সাং-কুমারুলী,থানা- ঈশ্বরগঞ্জ এর সিরাজগঞ্জ জেলার মোঃ শফিকুল ইসলাম এর সাথে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।বিবাহের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে ৩ ছেলের জন্ম হয়।
তাছলিমা খাতুন (৩০) এর স্বামী ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকুরী করা কালে দ্বিতীয় বিবাহ করে মর্মে লোকমুখে শুনতে পেয়ে তাছলিমা খাতুন (৩০) মানসিকভাবে ভেঙ্গে পরে।পরে তাছলিমা খাতুন(৩০)বিষয়টি পরিবারসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে আলোচনাকালে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫), পিতা-মৃত জব্বর মুন্সী, সাং-অরন্যপাশা, থানা- নান্দাইল,জেলা-ময়মনসিংহ এর সাথে পরিচয় হয়।পরিচকালে সে তাছলিমা খাতুনকে আশ্বাস প্রদান করে যে, তাহার স্বামীকে তাহার নিকট আনিয়া দিতে পারবে এবং তাহার সাথে ঘর সংসার করবে। ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) এর কথায় বিশ্বাস করে তাছলিমা খাতুন তার স্বামীকে ফেরত পাওয়ার জন্য আকুল হয়ে পড়ে।এই সুযোগ ভন্ড কবিরাজ মাছুম জানায় তাহার নিকট বেশি স্বর্ণালংকার উপস্থাপন করতে পারলে তাহার স্বামীকে দ্রুত তাহার নিকট আনার ব্যবস্থা করতে পারবে।তাছলিমা খাতুন ভন্ডপীর মাছুম এর কথায় বিশ্বাস করে ০৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দূল ও একটি স্বর্ণের চেইন যার মোট ওজন ১ভরি মোট বাজার মূল্য ৯০,০০০/-টাকা এবং নগদ ১,০০,০০০/- টাকা দেয়।
ভিকটিম তাছলিমা খাতুন এর নিকট ভন্ডপীর মাছুম (৪৫) ৩ জোড়া স্বর্ণের কানের দূল ও একটি স্বর্ণের চেইন যার মোট ওজন ১ভরি মোট বাজার মূল্য ৯০,০০০/-টাকা এবং নগদ ১,০০,০০০/- টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।এরূপ সংবাদ পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ নিকট আসলে পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ এর নির্দেশে অফিসার-ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ মোঃ ফারুক হোসেন এর নেতৃত্বে এসআই রূপন কুমার সরকার সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে ২৮/০৫/২০২৪ তারিখ ঈশ্বরগঞ্জ থানাধীন সোহাগী বাজার এলাকা হতে ভন্ডপীর মাছুম (৪৫), পিতা-মৃত জব্বর মুন্সী, সাং-অরন্যপাশা, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহকে গ্রেফতার করে।পুলিশ জানায় গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার কথা স্বীকার করে।উক্ত ঘটনার বিষয়ে তাছলিমা খাতুন বাদী হয়ে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার মামলা নং-১৪, তারিখ-২৮/০৫/২০২৪ ধারা-৪০৬/৪১৯/৪২০ পেনাল কোড রুজু হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।