অপরাধ

চাঞ্চল্যকর ১২ বছরের শিশু আজিম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ২২ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:১৪:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

চাঞ্চল্যকর ১২ বছরের শিশু আজিম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার
চাঞ্চল্যকর ১২ বছরের শিশু আজিম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

চট্টগ্রামের বায়েজিদ থানার আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর ১২ বছরের শিশু আজিম হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রনি আক্তার’কে দীর্ঘ ০৮ বছর পর গহিরা থেকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম।

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাব সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধর্ষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

নিহত ভিকটিম আজিম আহমদ এবং ঘাতক রনি আক্তার চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ থানাধীন একটি কলোনিতে পাশাপাশি বসবাস করে আসছিল। ভিকটিমের পরিবার বাসা থেকে কাজের জন্য বাহিরে গেলে তাদের বাসার চাবি রনি আক্তার এর নিকট রেখে যেত। গত ২০১৬ইং সালে ভিকটিম আজিমদের বাসা হতে একটি মোবাইল ফোন হারিয়ে যায়। তারা সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে ফোনটি কোথায়ও পায়নি। পারবর্তীতে হারিয়ে যাওয়া ফোনটি রনি আক্তার চুরি করছে বলে ভিকটিমের পরিবার জানতে পারে।

উক্ত মোবাইল চুরির বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে ভিকটিম আজিম রনি আক্তার এর ছেলে’কে চুরের ছেলে বলে গালি দেয়। এতে রনি আক্তার ভিকটিম আজিম এর উপর ক্ষিপ্ত হয় তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরবর্তীতে রনি আক্তার ভিকটিম আজিম’কে বাসায় একা পেয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে এবং হাত-পা ওড়না দিয়ে বেঁধে বটি-দা দিয়ে গলা কেটে হত্যার পর পালিয়ে যায়।

উক্ত হত্যার বিষয়ে ভিকটিমের পরিবার বাদী হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১১(০১)১৬, জিআর নং-১১/১৬, ধারা-৩০২ পেনাল কোড ১৮৬০। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে আসামি রনি আক্তার এর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিজ্ঞ আদালত পুলিশ প্রদিবেদন এবং মামলার সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি রনি আক্তার’কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।

র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম উক্ত হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রনি আক্তার’কে গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। নজরদারীর এক পর্যায়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, সূত্রে বর্ণিত মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রনি আক্তার চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানাধীন গহিরা এলকায় অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রামের একটি আভিযানিক দল গত ২০ এপ্রিল ২০২৪ইং তারিখ আনুমানিক ২১২০ ঘটিকায় বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামি রনি আক্তার, স্বামী-রিপন মিয়া, সাং-হাইদকিয়া, থানা-ফটিকছড়ি, জেলা-চট্টগ্রাম’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে সে সূত্রে বর্ণিত মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মর্মে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যায়, সে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট হতে গ্রেফতার এড়াতে দীর্ঘ ০৮ বছর চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল।

গ্রেফতারকৃত আসামি সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত