অপরাধ

শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:০৩:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ

শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেফতার
শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডে জড়িত গ্রেফতার

বিআরটিসি ফলমন্ডি এলাকায় শিশু ধর্ষণ ও ধর্ষণ পরবর্তী হত্যাকাণ্ডের ১০ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উন্মোচন এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িত ০১ জন গ্রেফতার।

মোছাম্মৎ বিলকিস বেগম ও তার মেয়ে কণা (ছদ্মনাম) ৩১/০৩/২০২৪ খ্রি. তারিখ রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় কোতোয়ালি থানাধীন আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তা থেকে কাগজ/বোতল সংগ্রহ করে উক্ত স্থানে অবস্থান করে। দিবাগত মধ্যরাত, অর্থাৎ ০১/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ অনুমান ০০.৩০ ঘটিকায় বিলকিছ বেগম তার মেয়েকে জেনারেল হাসপাতালের সামনে বসতে বলে তিনি আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটের সামনে মানুষের নিকট টাকা খুঁজতে যায়। মধ্যরাত অনুমান ০১.০০ ঘটিকায় আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেইটের সামনে গিয়ে তিনি তার মেয়েকে সিঁড়িতে বসা অবস্থায় দেখতে পান। রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় তিনি পুনরায় আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদের উত্তর গেটের সামনে গিয়ে দেখেন যে, তার মেয়ে উক্ত স্থানে নেই।

তাৎক্ষণিক তিনি তার মেয়েকে আন্দরকিল্লা মোড় ও আশপাশে সম্ভাব্য সকল স্থানে ব্যাপক খোঁজাখুঁজি করেও খুঁজে না পাওয়ায় একপর্যায়ে ০১/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ দিবাগত রাত অনুমান ০৯.০০ ঘটিকায় লোক মুখে জানতে পারেন যে, কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি সাকিনস্থ ফলমন্ডি ১নং গলি সংলগ্ন ডাস্টবিনের মধ্যে বস্তার ভিতরে একটি মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিত্তে তিনি সেখানে গিয়ে তার মেয়ের মৃতদেহ শনাক্ত করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিস্তারিত শুনে ভিকটিম কণা (ছদ্মনাম) এর মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

উক্ত ঘটনায় মোছাম্মৎ বিলকিস বেগম বাদি হয়ে এজাহার দায়ের করলে সিএমপি কোতোয়ালি থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়। মামলাটি রুজুর পর উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম (বার) মহোদয়ের সার্বিক দিকনির্দেশনায়, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব নোবেল চাকমা, পিপিএম এর তত্ত্বাবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার জনাব অতনু চক্রবর্ত্তীর নেতৃত্বে, অফিসার ইনচার্জ, কোতোয়ালি থানা জনাব ওবায়েদুল হক পিপিএম-সেবা, এসআই/মো. রবিউল হক, এসআই/বাবলু কুমার পাল, এসআই/গৌতম তেওয়ারী, এসআই/রনি তালুকদার, এসআই/বোরহান উদ্দিন, এসআই/মো. সাদ্দাম হোসেন, এসআই/নয়ন বড়ুয়া, এসআই/মো. মেহেদি হাসান, এসআই/মো. মিজানুর রহমান চৌধুরি, এসআই/মুহাম্মদ মোশারফ হোসাইন, এসআই/মনিরুল আলম খোরশেদ, এসআই/সজীব কুমার আচার্য, এএসআই/রুবেল মজুমদার, এএসআই/রনেশ বড়ুয়া, এএসআই/মো. সাইফুল আলম’দের সহায়তায় রুদ্ধশ্বাস অভিযান পরিচালনা করে লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ডে জড়িত মীর হোসেনকে ০২/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ সকাল ৬.৩০ ঘটিকার সময় বাকলিয়া থানাধীন বউ বাজার পুলিশ বিট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেন।

আটক মীর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে ঘটনায় ব্যবহৃত ০১টি ভ্যানগাড়ি, ০১টি পাটের বস্তা, ০১টি টুপরি উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।

সে আরও জানায় যে, সে রাতের বেলায় বিভিন্ন স্থান থেকে ভাঙারি মালামাল সংগ্রহ করে পরে বিক্রি করে। ঘটনার তারিখ ও সময়ে আব্দরকিল্লা এলাকায় ভিকটিমের সাথে তার দেখা হয়। সেখানে সে ভিকটিমের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে। সে ভিকটিমকে চিপস ও চকলেট কিনে দিয়ে টাইগারপাস এলাকায় বেড়াতে যাওয়ার লোভ দেখায়। একপর্যায়ে আব্দরকিল্লা এলাকা থেকে ভিকটিমকে রিকশাযোগে টাইগার ইউসুফ চৌধুরি সড়ক সংলগ্ন পাহাড়ের নিচে নিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করে মৃত্যু ঘটায়। পরবর্তীতে একটি ভ্যানগাড়ি যোগে ভিকটিমের লাশ পাটের বস্তাবন্দি করে টাইগারপাস এলাকা থেকে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বিআরটিসি ফলমন্ডি ১নং গলি সংলগ্ন ডাস্টবিনে রেখে চলে যায়।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত