অপরাধ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৩০ এপ্রিল ২০২৪ , ১২:৩০:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় অটোরিক্সা চালক হত্যা মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার
ছবিঃ সংগৃহীত

*ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ায় অটোরিক্সা চালক এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম ওরফে মাসুদ(৪২) হত্যার ক্লুলেস মামলার  সন্দিগ্ধ পলাতক আসামী‘কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ।*

১।   র‌্যাব তার প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপসহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন হত্যা সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে হত্যার মত জঘন্য কাজ থেকে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

২।      এখানে উল্লেখ্য যে, অত্র মামলার বাদী মোঃ মোবারক আলী (৭২) জানায় যে, তার ছেলে একজন ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চালক। সে অটোরিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। বাদীর ছেলে তার ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি পুরাতন হয়ে যাওয়ায় বিক্রি করে একটি নতুন অটোরিক্সা ক্রয় করবে মর্মে পরিবারের লোকজনদের সাথে পরামর্শ করে সিদ্ধান্ত নেয়। গত ১৮/০৪/২০২৪খ্রি. তারিখ দুপুরের খাবার খেয়ে বিকাল অনুমান ০৪.৩০ ঘটিকায় বাদীর ছেলে এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম ওরফে মাসুদ (৪২) প্রতিদিনের ন্যায় তার অটোরিক্সাটি নিয়ে বাড়ী হতে বাহির হয়ে যায়। কিন্তু, অনেক রাত হওয়ার পরেও অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ীতে না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খোঁজাখুঁজি করাকালে পরের দিন ইং ১৯/০৪/২০২৪খ্রি. তারিখ সকালবেলা প্রতিবেশি আজগর আলীর মাধ্যমে বাদী জানতে পারেন যে, তার ছেলে এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম ওরফে মাসুদ (৪২) এর ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি ত্রিশালে জনৈক ব্যক্তির নিকট ১,২০,০০০/- টাকায়  বিক্রি করে দিয়েছেন এবং তাকে টাকা নিয়ে দ্রুত বাড়ীতে আসার পরামর্শ দিয়েছেন। ঐদিন সকাল অনুমান ১১.৩০ ঘটিকায় বাদী লোকমুখে জানতে পারেন যে, তার ছেলে এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম ওরফে মাসুদ (৪২) এর লাশ তার বাড়ীর উত্তর পাশে সাবেক মেম্বার মোঃ তাজুল ইসলাম মেম্বার(৫০) এর পারিবারিক কবরস্থানের জমির উত্তর পাশে লাউয়ের মাচার নিচে পড়ে আছে। তাৎক্ষনিকভাবে বাদী তার পরিবারের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ছেলের লাশ দেখিতে পায়। পরবর্তীতে, ফুলবাড়ীয়া  থানায় ফোন দিলে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করতঃ ময়না তদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় নিহতের পিতা মোঃ মোবারক আলী (৭২), পিতা-মৃত নগর আলী সরকার, সাং-কালাকান্দা, থানা-ফুলবাড়ীয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বাদী হয়ে ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-২১, তারিখ-২০/০৪/২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড ১৮৬০।‍ বাদীর ছেলে এ.কে.এম শহীদুল ইসলাম ওরফে মাসুদ (৪২) হত্যার ঘটনায় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। উক্ত হত্যাকান্ডের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে।

৩।     এরই প্রেক্ষিতে, বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে অধিনায়ক র‌্যাব-১৪, ময়মনসিংহ মহোদয়ের নির্দেশক্রমে র‍্যাব-১৪, সদর ব্যাটালিয়নের অপারেশনস্ অফিসার অতিঃ পুলিশ সুপার জুলফিকার আলী এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ইং ২৯/০৪/২০২৪ খ্রি. তারিখ সকাল অনুমান ০৯.৪০ ঘটিকায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানাধীন ভাবখালী চুরখাই পূর্বপাড়া গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে অটোরিক্সা  চালক হত্যা মামলার সন্দিগ্ধ পলাতক আসামী মোঃ আজগর আলী(৩৩), পিতা-মৃত রজব আলী, মাতা-সকিনা বেগম, সাং-কালাকান্দা, থানা-ফুলবাড়ীয়া,  জেলা- ময়মনসিংহ‘কে  গ্রেফতার করতে সক্ষম  হয়।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত