অপরাধ

ভাতিজা কর্তৃক চাচা হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

  প্রতিনিধি ৪ এপ্রিল ২০২৪ , ৩:৫৩:১২ প্রিন্ট সংস্করণ

ভাতিজা কর্তৃক চাচা হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
ভাতিজা কর্তৃক চাচা হত্যাকান্ড মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

*২৪ ঘন্টার মধ্যে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার চাঞ্চল্যকর আপন ভাতিজা কর্তৃক চাচা কাজী আশরাফুল আলম (৬৫) হত্যাকান্ড ঘটনার মামলার প্রধান আসামি কাজী কামরুজ্জামান পলাশ (২৯) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প।*

“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই শ্লোগান নিয়ে জন্ম হয় র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি ও সন্ত্রাস, মাদক, অস্ত্র, অপহরণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন প্রকার অবৈধ কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণ কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষ ভাবে প্রশংসিত হয়েছে। র‌্যাব-১৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন হত্যা সংক্রান্ত অপরাধ কর্মকান্ড দমনের লক্ষ্যে র‌্যাব ফোর্সেস অত্যন্ত পেশাদারিত্বের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে হত্যার মত জঘন্য কাজ থেকে সমাজ তথা দেশকে বাঁচাতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ৩১/০৩/২০২৪ খ্রিঃ তারিখ ভিকটিম কাজী আশরাফুল আলম (৬৫) এশার নামাজ শেষে মসজিদ হইতে এর বসত বাড়ীর উঠানে পৌছিলে পূর্ব হতে ঊৎ পেতে থাকা ০২নং আসামী কহিনুর বেগম (৫০) তার চোখে মরিচের গুড়া মিশ্রিত পানি মারে এবং ০১ নং বিবাদী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ (২৯) এর হাতে থাকা লাকড়ি দিয়ে ভিকটিমকে খুন করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মকভাবে আঘাত করে ভিকটিমের উঠানে ফেলিয়ে দেয় এবং ০২ নং বিবাদীও এলোপাথারী কিল ঘুষি লাথি মারে। ভিকটিমের ডাক-চিৎকার দিলে তার স্ত্রী চামেলী বেগম (৬০) এবং আশে পাশের লোক আসলে বিবাদীদের নিকট হতে ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে তার অবস্থা অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। পরবর্তীতে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে গত ০১-০৪-২০২৪ খ্রিঃ তারিখ রাত ০৩.৪০ ঘটিকায় মৃত ঘোষনা করেন।

উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ আল আরিফ (৪২) বাদী হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ সহ ২জন এজাহারনামীয় আসামী করে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানায় ০১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা মির্জাপুর থানার মামলা নং-২/৭৫, তারিখ-০২/০৪/২০২৪, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড-১৮৬০। বর্ণিত বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় প্রচারিত হলে দেশব্যাপী ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় এবং আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে ঘটনার পর পরই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত আসামীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, টাঙ্গাইল ক্যাম্প গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের অবস্থান জানার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে উক্ত মামলার ০১নং আসামী মোঃ কামরুজ্জামান পলাশ (২৯) এর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অদ্য ০৩/০৪/২০২৪ খ্রিঃ. দুপুর ১৪.০০ ঘটিকার সময় ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন জিরানি বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা হইতে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩ টাঙ্গাইল ক্যাম্পের একটি চৌকশ আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে উক্ত মামলার এজাহারনামীয় ০১নং আসামী কাজী কামরুজ্জামান পলাশ (২৯), পিতা- কাজী রফিকুল ইসলাম বাবুল, সাং- কুরনি, থানা- মির্জাপুর ও জেলা-টাঙ্গাইলকে গ্রেফতার করে। উক্ত হত্যার ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে।

উক্ত এজাহারনামীয় আসামীকে সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করার নিমিত্তে মির্জাপুর থানায় ইতোমধ্যে হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত