রাজনীতি

উপজেলা নির্বাচনে সংঘাত এড়াতে বিভিন্ন কৌশল নেওয়া হচ্ছে : আওয়ামী লীগ

  প্রতিনিধি ৬ এপ্রিল ২০২৪ , ১১:৪৪:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

উপজেলা নির্বাচনে সংঘাত এড়াতে বিভিন্ন চিন্তা আওয়ামী লীগ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি নিজেদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলের নেতা-কর্মীরা যাতে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে না পড়েন সেটাও এড়ানোর চেষ্টা করছে দলটি।এর জন্য কিছু কৌশল নেওয়া হচ্ছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দ্বন্দ্ব পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না এটাও মনে করা হচ্ছে।আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়া এবং কেন্দ্র থেকে প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন উন্মুক্ত করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। উন্মুক্ত নির্বাচনের সুযোগ নিয়ে অনেক নেতাই প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন। কোনো কোনো উপজেলায় পাঁচ থেকে ছয়জন করে প্রার্থীর কথা শোনা যাচ্ছে। আবার কোথাও কোথাও এর চেয়ে বেশিও হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে নিজেদের মধ্যেই সংঘাতের আশঙ্কা দেখছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। এ সংঘাত এড়ানো বা এর থেকে নেতা-কর্মীদের কতটা দূরে রাখা যায় তা চিন্তা-ভাবনা , বিভিন্ন কৌশলের কথা ভাবা হচ্ছে।

একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলায় নেতাদের প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা দিতে না পারলেও প্রার্থী যাতে কম হয় সে বিষয়টি নিয়ে ভাবা হচ্ছে। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করতে উন্মুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এ অবস্থান নেওয়ার ফলে এখন প্রতিটি উপজেলায় আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী এত বেশি হয়ে যাচ্ছে যার ফলে দলের মধ্যে বিশৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার আশঙ্কা করছেন দলটির নীতিনির্ধারকরা। প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য একাধিক প্রার্থী থাকতে হবে।

তবে এক্ষেত্রে প্রার্থী কম থাকলে সমস্যা কম হবে। পাশাপাশি দলের স্থানীয় গুরতুপূর্ণ ও জনপ্রিয় নেতার জেতা নিশ্চয়তা যাতে থাকে সে চিন্তাও করা হচ্ছে। দল থেকে বেশি প্রার্থী হলে সেখানে দলের বাইরে বা আওয়ামী লীগ বিরোধী কোনো প্রার্থী থাকলে তার জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে বলেও মনে করা হচ্ছে। এ কারণে প্রার্থী যাতে কম হয় সে চেষ্টা থাকবে। দলের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রার্থীকে জিতিয়ে আনতে স্থানীয়ভাবে অর্থাৎ জেলা-উপজেলা থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে সমঝোতা করার উদ্যোগ থাকতে পারে।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য জানান দলের কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনাই থাক কেন্দ্র তো কেন্দ্রের মতো নির্দেশনা দেবে, সেটা যেমন দেখতে হবে আবার স্থানীয় বাস্তবতাও তো আমাদের দেখতে হবে। আওয়ামী লীগ থেকে কয়েকজন করে প্রার্থী হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ বিরোধী, জামায়াত, সাম্প্রদায়িক দলের কোনো প্রার্থী থাকলে তিনি জিতে যাবেন। সে বিষয়টি দেখতে হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি একটা ভালো নির্বাচনের। সংসদ সদস্যরা যাতে হস্তক্ষেপ না করে সেটা বলা হচ্ছে। বার বার সতর্ক করা হয়েছে। সংকট যাতে না হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে। স্থানীয় নির্বাচনে কেউ দ্বন্দ্ব বা সংঘর্ষ পুরোপুরি ঠেকাতে পারবে না। দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রার্থীকে তো বের করে আনার চেষ্টা করতে হবে আমাদের।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত