জীবনযাপন

১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন, বিদ্যুতের হিসাবে গরমিল

  প্রতিনিধি ২৩ এপ্রিল ২০২৪ , ১:৩২:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

১০-১২ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন, বিদ্যুতের হিসাবে গরমিল
ছবি : সংগৃহীত

বৈশাখের শুরুতে দেশে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। ৫১ জেলায় চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ।

ইতোমধ্যেই হিট স্টোকে বিভিন্ন জেলায় ১০ জন মারা গেছেন। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের ত্রাহি দশা। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সারাদেশের জনজীবন। সেচের অভাবে ধানক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে, আমের মুকুল ঝড়ে যাচ্ছে, বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় কলকারখানায় উৎপাদন কমে গেছে, কোলরেস্টরেজে পঁচে যাচ্ছে কৃষিপণ্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফ্যান না চলায় তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শহরকেন্দ্রীক মানুষের জীবন। বিদ্যুৎ না থাকায় ফ্রিজে নষ্ট হচ্ছে খাদ্যপণ্য।

অথচ দেশের বিদ্যুৎ সেক্টরে ব্যাপক সাফল্য দেখানো হচ্ছে। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল বিদ্যুতে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের বিতর্কের মধ্যে দাবি করা হচ্ছে দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা ৩০,২৭৭ মেগাওয়াট। তবে গতকাল সারাদেশে চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটের বিপরীতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৫,৬৪৮ মেগাওয়াট। উৎপাদনের এ হিসাব সরকারের কেতাবের হলেও প্রকৃত উৎপাদন কত তা জানা সত্যিই কঠিন। কারণ সরকারের হিসাবে চাহিদার চেয়ে মাত্র দেড় হাজার মেগাওয়াট ঘাটতি হলে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হওয়ার কথা নয়। বিদ্যুতের প্রকৃত চাহিদা, উৎপাদন ও বিতরণ হিসাবের সঙ্গে বাস্তবের মিল দেখা যাচ্ছে না।

ইনকিলাবের বিভাগ, জেলা, উপজেলা প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন গত কয়েকদিন থেকে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং স্বাভাবিক ঘটনা। ঢাকা, সভার, নারায়ণগঞ্জ, গাজিপুর, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, টঙ্গী, চট্টগ্রামসহ দেশের প্রত্যেকটি এলাকার শিল্পকারখানা উৎপাদন কমে গেছে। বিদ্যুতের অভাবে শ্রমিক বসিয়ে রেখে বেতন দেয়ায় কারখানাগুলো লোকসানের মুখে পড়ে যাবে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত