প্রচ্ছদ

চলমান দাবদাহ ও হাওর অঞ্চলের ধান

  মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান ২ মে ২০২৪ , ৪:০৬:৪৫ প্রিন্ট সংস্করণ

চলমান দাবদাহ ও হাওর অঞ্চলের ধান
ছবিঃ সংগৃহীত

আবহাওয়া অধিদপ্তর দেশজুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি জানিয়েছে, ২ মে
(বৃহস্পতিবার) থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে।

শুক্র ও শনিবার তা বিস্তরলাভ করে দেশজুড়ে হতে পারে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন। চলমান তাপপ্রবাহ শেষে
বৃষ্টির পূর্বাভাসে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বোরোর মৌসুমের কৃষকরা। বৃষ্টির আগে পাকা ধান
ঘরে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্ভাব্য ভারী বৃষ্টিপাতের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায়
হাওর অঞ্চলে ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হলে বোরো ধান কাটার পরামর্শ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর। ২৮ এপ্রিল রবিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। বৃষ্টি নিয়ে এমন
খবরে বোরো ধান কাটার ধুম পড়ে গেছে হাওরগুলোতে। দাবদাহ উপেক্ষা করে কৃষকরা গোলায় ধান
তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, সময় কম পাওয়ায় শ্রমিকের বদলে
হার্ভেস্টর মেশিনে ঝুকছেন কৃষকরা। এতে দ্রুত সময়ে মাঠের ধান ঘরে তুলতে পারছেন তারা।
আগামী ১০-১৫ দিন আবহাওয়া কৃষকদের পক্ষে গেলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে
বলে আশাবাদী হাওরের কৃষকরা।


কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার,
কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনা হাওরাঞ্চলের এ জেলাগুলোয় চলতি বছর ৯ লাখ ৬০
হাজার হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে হাওরে ৪ লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর এবং
অন্যান্য প্রায় ৫ লাখ ৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। স্থানীয় কৃষকের
সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাওরের অধিকাংশ জমির ধান এরই মধ্যে কাটা হয়েছে। বাকি অংশ
এখনো কাটার উপযোগী হয়নি। এদিকে নেত্রকোনা জেলায় এরই মধ্যে হাওরাঞ্চলে ৯৩ ও
সমতলের ৪০ শতাংশ জমির ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ
অধিদপ্তর। তবে জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোয় পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের জমির ধান দ্রুত
কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এ বিষয়ে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন
বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান বলেন, ‘এ বছর যথাসময়ে জেলার হাওরাঞ্চলে
ফসল রক্ষাবাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। ফলে এবার আগাম বন্যায় বোরো ধানের কোনো ক্ষতির
আশঙ্কা নেই। বন্যা পূর্বাভাস এবং সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যানুযায়ী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের
সিলেট, সুনামগঞ্জসহ জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ার কারণে নিম্নাঞ্চলের কৃষককে
দ্রুত তাদের ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।’
এদিকে আবহাওয়া বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে কৃষি অধিদপ্তর জানিয়েছে, ৩ মে থেকে দেশের উত্তর-
পূর্ব হাওরাঞ্চল তথা সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, কিশোরগঞ্জ,
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নেত্রকোনার অনেক জায়গায় ভারি থেকে অতিভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এজন্য
হাওর এলাকার কৃষকের জন্য আটটি পরামর্শ দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের
জনসংযোগ বিভাগ। এতে বলা হয়েছে, বোরো ধান ৮০ শতাংশ পরিপক্ব হয়ে গেলে দ্রুত সংগ্রহ করে
নিরাপদ ও শুকনো জায়গায় রাখতে হবে। পরিপক্ব সবজি দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে। নিষ্কাশন নালা
পরিষ্কার রাখতে হবে, যেন ধানের জমিতে পানি জমে না থাকে। জমির আইল উঁচু করতে হবে।
ফসলের জমি থেকে অতিরিক্ত পানি সরিয়ে ফেলার ব্যবস্থা রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। সেচ, সার ও
বালাইনাশক থেকে বিরত থাকতে হবে। বৃষ্টিপাতের পর দিতে হবে বালাইনাশক। কলা ও অন্যান্য
উদ্যানতাত্ত্বিক ফসল ও সবজির জন্য খুঁটির ব্যবস্থা করার পরামর্শও দিয়েছে কৃষি অধিদপ্তর।
ঝড়-বৃষ্টির কারণে উপজেলায় খেতের বোরো ধানের ক্ষতি হতে পারে। তাই প্রাকৃতিক দূর্যোগে
পুরো ফসল যেন নষ্ট না হয়, সেজন্য মাইকিং চলছে।

নেত্রকোণার হাওরে এখন পর্যন্ত ৯৩ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাওর ঘুরে দেখা
গেছে ধান কাটার মহোৎসব চলছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষক দিন রাত এক করে সোনার
ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত রয়েছেন। বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে ধান কাটার উৎসবে মেতে উঠেছে হাওরের
কৃষকরা। এবার নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে ভাল দামে ধান বিক্রি করতে পারায় কৃষকের চোখে মুখে
দেখা দিয়েছে হাসির ঝিলিক। নেত্রকোনা মূলত ধান উদ্ধৃত্ত জেলা। এ জেলায় উৎপাদিত ধান
স্থানীয় কৃষকদের চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য জেলায় সরবরাহ করা হয়ে থাকে। নেত্রকোনা কৃষি
সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মওসুমে নেত্রকোনা জেলায় ১ লক্ষ ৮৫
হাজার ৩ শত ২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। গত বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ জাতের ধানে
ব্যাপক চিটা দেখা দেয়ায় মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা ব্রি ২৮ এর পরিবর্তে ব্রি-৮৮ জাতের
ধান চাষে পরামর্শ দেয়ায় এবার হাওরাঞ্চলের কৃষকরা বেশি করে ব্রি-৮৮ জাতের ধান চাষ
করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং কোন ধরনের রোগ বালাই না দেখা দেয়ায় হাওরে এবার
বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি বিভাগ আশা করছে, এবার জেলায় যে পরিমাণ ধান
উৎপাদিত হবে তা থেকে ৮ লক্ষ ২ হাজার ৬ শত মেট্রিক টন চাউল উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
নেত্রকোনার হাওরাঞ্চল হিসেবে পরিচিত জেলার খালিয়াজুরী, মদন, মোহনগঞ্জ, ও কলমাকান্দা
উপজেলায় ইতোমধ্যে বোরো ধানের প্রায় ৯৩ ভাগ কাটা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান
দ্রুত পেকে যাচ্ছে। আগাম বন্যা, ঝড় শিলা বৃষ্টি না থাকায় প্রচন্ড রোদে কোনো রকম ঝামেলা
ছাড়াই ধান কাটা, মাড়াই ও শুকিয়ে কৃষকরা তাদের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের ফসল গোলায় তুলতে
পারছেন। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন হাওরাঞ্চল ঘুরে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, কৃষি
কাজে যান্ত্রিকীকরণের কারণে হাওরাঞ্চলে এবার শ্রমিক সংকট নেই। মোহনগঞ্জের
ডিঙাপোতাসহ বেশীর ভাগ হাওরে কৃষকরা হারভেস্টার মেশিন দিয়ে তাদের জমির ধান দ্রুত কেটে
ফেলছেন। প্রান্তিক চাষীরা বছরের খোরাকির জন্য ধান সংরক্ষণ করছেন। কৃষকের বাকী ধান
হাওরের জমি থেকেই ফারিয়া দালালরা কিনে নিচ্ছেন। কৃষকরা বলছেন, এ বছর ধানের ফলন ভালো
হয়েছে। দামও ভালো পাচ্ছেন। সাড়ে ৯ শত টাকা থেকে ১ হাজার টাকা মন দরে ধান ক্ষেতের খলা
থেকেই বিক্রি করেছি। আমার ৮০ কাঠা খেতে ৬০০ মন ধান হয়েছে।
কৃষকদের আশা, আমার জমিতে যে পরিমাণ ধান পেয়েছেন, তা দিয়ে সংসারের ভরণ পোষনসহ ছেলে
মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালাতে পারবেন। নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-
পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, এ জেলার হাওরাঞ্চলে পুরোদমে বোরো ধান কাটা
শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ৭৩০টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন হাওরাঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সার বীজ কীটনাশক প্রয়োগ করায় বোরো
ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। খুব কম সময়ে মেশিনের সাহায্যে ধান কাটা ও মাড়াই করা হয় বলে
কৃষকরা তাদের বোরো ধান সহজেই ঘরে তুলতে পারছেন। নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের
নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সারওয়ার জাহান বলেন, এ বছর যথাসময়ে জেলার হাওর অঞ্চলে ফসল
রক্ষা বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। ফলে হাওরে এবার আগাম বন্যায় বোরো ধানের কোন
ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা নেই। নানা কারণে প্রকৃতি বিরূপ হয়ে ওঠেছে। টানা রোদে পুড়ছে সারাদেশ।
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ একটু স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্যে প্রার্থনা করছেন। গরমের
প্রকোপ থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষায় স্কুল-কলেজ বন্ধ দিয়েছে সরকার। 
এ অবস্থায় নেত্রকোণার হাওরপাড়ের চিত্র পুরো ভিন্ন। সেখানকার কৃষকরা বলছেন, তাপপ্রবাহ
চললেও এই মুহূর্তে তারা বৃষ্টি চান না। আরও রোদ্রোজ্জ্বল দিন তাদের কাম্য। কারণ সেখানে
চলছে ‘দাওয়ামারি’- পুরোদমে বোরো ধান কাটা। 
তারা বলছেন, এখন বৃষ্টি তাদের জন্য সর্বনাশ ডেকে আনবে। কারণ, এখন বৃষ্টি হলে শিলা
থাকবে; তাতে ক্ষেতে থাকা পাকা ধান সব মাটিতে ঝরে পড়বে। সেটা আর রক্ষা করা যাবে

না। তাদের বক্তব্য, দেহেন আমরার এই গরমই সৌভাগ্য। অহন বৃষ্টি অইলে আমরার বিরাট ক্ষতি
অইয়া যাইবো।” অপরদিকে কাটা ধান যদি রোদ না পায় তাহলে তাতে ‘জ্বালা’ বা চারা গজিয়ে নষ্ট
হয়ে যাবে। এই ধানের কোনো বাজারমূল্য থাকবে না। সারাবছর মাথায় ঘাম পায়ে ফেলে এখন
কৃষককে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। 
শুক্রবার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ ওঠেছে। টানা এই তাপ
প্রবাহের কারণে সারাদেশে ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি করা হয়েছে এবং সেটি বাড়ানো হয়েছে। সঠিক
পরিসংখ্যান না থাকলেও এই সময়ে সারাদেশে গরমে ১০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন। এই ভয়ানক
অবস্থায় চিকিৎসক ও আবহাওয়াবিদরা মানুষকে খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘর থেকে বের না
হতেই পরামর্শ দিচ্ছেন। ছায়াযুক্ত স্থানে বসে কাজ করার কথা বলছেন এবং এর প্রভাবে দেশের
বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাটে মানুষের চলাচলও কমে গেছে। 
কিন্তু হাওরের দৃশ্য ভিন্ন। সারা বছরের খোরাকি জোগাতে এই তীব্র রোদ মাথায় নিয়েই তাদের
ক্ষেতের ধান কাটতে নামতে হচ্ছে। গা-পোড়া গরমের মধ্যেই তাদেরকে কড়া আগুনে মণ-কে-মণ ধান
সিদ্ধ করতে হচ্ছে চুলার পাশে বসে। কষ্ট হলেও যেন এ সময় তাদের ক্লান্তি আসা মানা। তপ্ত
রোদে পুড়ে কাজ করছিলেন খালিয়াজুরী উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের কৃষক জয়নাল মিয়া।
হাওরের বোরো ধানের ফলন ও কর্তন নিয়ে কথা বলার এক পর্যায়ে গরমের এই সময়টাতে কিছুটা
স্বস্তি পেতে বৃষ্টি হলে কেমন হয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরার হাওরে অহন বৃষ্টি অইলে
মরণ ছাড়া গতি নাই। এমন অকথা-কুকথা কইয়েন না। “আমরার লাইগ্যা রোইদ অইতাছে সোনার
গোলা। আমরার অহন খালি রইদ আর রইদ দরকার।” তিনি বলছিলেন, “কয়টা দিন গরমের মধ্যে
ভালায় ভালায় ধান ঘরে তুইল্যা ফালাইতে পারলেই সারা  বছর কিচুডা নিশ্চিন্ত অয়ন যায়। এইডা
আমার একলার না। হাওরজুইড়া বেবাকের (সবার)।” “দেহেন আমরার এই গরমই সৌভাগ্য। অহন
বৃষ্টি অইলে আমরার বিরাট ক্ষতি অইয়া যাইবো। আমরা বৃষ্টি চাই না। আমরার প্রার্থনা, আর
অন্তত একটা সপ্তাহ এইবায় রোইদই থাহুক। আমরার ফসল ঘরে তুইল্যা ফালাই।”
মদন উপজেলার পাছআলমশ্রী গ্রামের কৃষাণী সখিনা বেগম রোদের মধ্যে ধান সিদ্ধ ও শুকানোর
কাজ করছিলেন। তিনি বলেন, “দেহেন অতো রইদ, অতো গরম। এর পরেও আমরার আনন্দই।
এইবার যে ধান অইছে তা ঘরে নেয়নই আমরার চিন্তা। রইদ থাকতে থাকতে সব ধান জমি থেইক্যা
নিয়াম।” 
ভাত ছাড়া বাঙালির পেট ভরে না। বিগত বছরগুলোতে বৈরি আবহাওয়ার কারণে হাওরের ধান তোলায়
বেশ সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে। এবার দাবদাহ দেশের সামগ্রিক সমস্যা করলেও হাওরের
মানুষের মুখে হাসি। চালের দাম যে হারে বাড়ছে আশা করা যায়, হাওরের এ ধান দেশের চালের
চাহিদায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।

লেখকঃ উপপ্রধান তথ্য অফিসার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত