অপরাধ

জলদস্যুদের উপর বাড়ছে চাপ

  বিশেষ প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ২৪ মার্চ ২০২৪ , ২:৩০:২০ প্রিন্ট সংস্করণ

জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ
জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ছবি: সংগৃহীত

সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে পাঁচ থেকে সাত নটিক্যাল মাইল দূরে গতকাল শনিবারও অবস্থান করছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ। আবার জিম্মি জাহাজ থেকে স্থলভাগে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সোমালিয়ার পান্টল্যান্ড পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে খবর দিয়েছে বিবিসি সোমালি।

এমন পরিস্থিতিতে জলে ও স্থলে দুই দিক থেকে জলদস্যুদের ওপর দৃশ্যত চাপ বাড়ছে বলে মনে করেন অভিজ্ঞ নাবিকেরা। এই চাপে জিম্মিদের মুক্ত করতে জলদস্যুরা দ্রুত সমাধানে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন কেউ কেউ।

নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এই ঘটনার শুরু থেকে খোঁজখবর রাখছেন। জানতে চাইলে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, এটা ঠিক, জলদস্যুদের ওপর একটা চাপ তৈরি হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের চাপ তৈরি হলে সমাধানও তাড়াতাড়ি হয়। যদিও জলে-স্থলে এই চাপ দস্যুরা কীভাবে নিচ্ছে, তার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে।

নাবিকরা জানিয়েছেন, জাহাজে পানির সমস্যা হচ্ছে। দিনে এক ঘণ্টা তাদের পানি ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে। জাহাজটির অদূরে একটি বিদেশি জাহাজ টহল দেওয়ায় নাবিকদের বেশিরভাগ সময় ব্রিজে নিয়ে রাখা হচ্ছে। নাবিকরা ভালো আছেন বলেও তাদের পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন। 

নাবিকদের স্বজনদের দেওয়া হচ্ছে সান্ত্বনা: জাহাজের মালিকপক্ষ জিম্মি নাবিকদের পরিবারের সদস্যদের শনিবার বিকালে বারিক বিল্ডিং মোড়ে কেএসআরএমের প্রধান অফিসে ডেকে পাঠিয়েছে। সেখানে এসআর শিপিংয়ের সিইও মেহেরুল করিম তাদের সান্ত্বনা দেন। 

জিম্মি উদ্ধারে সব রকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে এবং দ্রুত তাদের মুক্ত করে আনতে পারবেন বলে আশ্বস্ত করেন। সেখানে উপস্থিত জিম্মি নাবিকদের এক স্বজন এদিন সন্ধ্যায় যুগান্তরকে বলেন, মুক্তিপণ দিয়েই জিম্মিদের ছাড়ানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে বলে তাদের জানানো হয়েছে। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য: শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলায় সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সমন্বয় সভা শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, গতবার যখন এমভি জাহান মনি হাইজ্যাক হয়েছিল তাদের মুক্ত করতে ১০০ দিন সময় লেগেছিল। এখন যত দ্রুত সম্ভব তাদের মুক্ত করার চেষ্টাই আমরা করছি। নাবিক ও জাহাজের যাতে কোনো ক্ষতি না হয় সেভাবেই আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। 

তিনি বলেন, জাহাজের মধ্যে কয়লা আছে, কয়লা একটি দাহ্য পদার্থ। সুতরাং এমন কিছু করা যাবে না, যাতে করে দাহ্য পদার্থ হুমকির সম্মুখীন হয়, জাহাজের ক্ষতি হয়। সেভাবেই আমরা এগোচ্ছি। 

এমভি আবদুল্লাহতে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র মোতায়েন: সোমালি জলদস্যুরা জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র বসিয়েছে বলে এক্সে (টুইটার) এক পোস্টে তথ্য দিয়েছে দ্য ডেইলি সোমালিয়া। 

২০ মার্চ দেওয়া ওই পোস্টে কাপড়ে ঢাকা একটি ভারী অস্ত্রের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, এমভি আবদুল্লাহতে বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র বসানো হয়েছে।

আরও খবর

                   

সম্পর্কিত